Breaking

Sunday, September 16, 2018

সন্ধ্যায় নিখোঁজ, পরদিন দুই ভাইয়ের লাশ উদ্ধার

সন্ধ্যায় নিখোঁজ, পরদিন দুই ভাইয়ের লাশ উদ্ধার.......
যশোরে দুই ভাইয়ের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার সকালে দুই উপজেলা থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। বিকেলে তাদের পরিচয় নিশ্চিতের পর জানা যায়, তারা দুই ভাই। নিহত ফারুক হোসেন (৫০) ও আজিজুল ইসলাম (৪৫) শার্শা উপজেলার জামতলা সামটা এলাকার জেহের আলীর ছেলে। তারা মাদক বিক্রেতা বলে জানিয়েছে পুলিশ।
 
আজিজুলের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয় শার্শা উপজেলার পশ্চিম কোটা গ্রামের একটি মেহগনি বাগান থেকে। আর ফারুক হোসেনের লাশটি কেশবপুর উপজেলার ধর্মপুর গ্রামের রাস্তার পাশ থেকে অজ্ঞাত হিসেবে উদ্ধার করে পুলিশ। 
 
শার্শা থানার ওসি হুমায়ুন কবির জানান, আজ সকালে শার্শা উপজেলার পশ্চিম কোটা গ্রামের একটি মেহগনি বাগানে মাথায় গুলিবিদ্ধ একটি মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। 
 
ওসি আরও জানান, নিহত ব্যক্তি উপজেলার জামতলা সামটা গ্রামের জেহের আলীর ছেলে আজিজুল হক। তার বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসার অভিযোগ রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, দুই দল মাদক ব্যবসায়ীর মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে তার মৃত্যু হয়েছে।
 
এদিকে একইদিন সকালে কেশবপুর উপজেলার ধর্মপুর গ্রামের রাস্তার পাশ থেকে গুলিবিদ্ধ অপর একটি মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মাথায় গুলিবিদ্ধ এ ব্যক্তির প্রাথমিকভাবে পরিচয় জানতে না পেরে লাশ উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। সেখানে তার ভাই সাইদুর পরিচয় নিশ্চিত করেন। 
 
নিহতদের ভাই সাইদুল হাসপাতালে সাংবাদিকদের বলেন, শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে আজিজুল ও ফারুক বাজারে যাওয়ার জন্য একসঙ্গে বাড়ি থেকে বের হন। রাত ১০টা পর্যন্ত তারা বাড়িতে না ফেরায় খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে বিষয়টি পুলিশকে জানান। রবিবার সকালে একটি মেহগনি বাগান থেকে শার্শার পুলিশ আজিজুলের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। তিনি (সাইদুল) তার ভাইয়ের লাশ শনাক্ত করার সময় কেশবপুর উপজেলা থেকে ‘অজ্ঞাতপরিচয়’ আরেকজনের লাশ মর্গে আনা হয়। মুখ দেখতে গিয়ে সেটি তার আরেক ভাই ফারুকের লাশ হিসেবে শনাক্ত করেন সাইদুল। 
 
আজিজুলের বিরুদ্ধে জেলার বিভিন্ন থানায় মাদক আইনে অন্তত সাতটি মামলা রয়েছে বলে বাগআঁচড়া পুলিশ ক্যাম্পের এসআই আব্দুর রহিম হাওলাদার জানান।
 
কেশবপুর থানার ওসি মোহাম্মদ শাহীন বলেন, ‘নিহত ফারুকের গলায় একটি ক্ষত রয়েছে। এটি গুলির দাগ কিনা সেটা ময়নাতদন্ত করলে জানা যাবে।’
 
ইত্তেফাক/জেডএইচ

No comments:

Post a Comment

Pages